ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

চকরিয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ কবর থেকে ৯দিন পর উত্তোলন

Lash utDSC00383-300x225মিজবাউল হক, চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে নিহত হওয়া চিংড়ি ব্যবসায়ী রফিক উদ্দিনের লাশ দাফনের ৯দিন পর আদালতের নির্দেশে রোববার দুপুরে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরুল কায়েস উপস্থিতিতে বদরখালী ইউনিয়নের মাতারবাড়ি পাড়া গ্রামের কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহাবুবর রহমান বলেন, একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলনের পর আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, গত ১৮আগষ্ট সকালে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৩নম্বর ব্লকের বদরখালী সমিতির মালিকানাধীন বড় মাঠ লবণ ও চিংড়ি প্রকল্প এলাকা থেকে চিংড়ি ব্যবসায়ী রফিক উদ্দিনের লাশটি উদ্ধার করেন পরিবার সদস্যরা। আগের দিন রাতে ওই চিংড়ি প্রকল্পের খামার ঘরে ছিলেন ব্যবসায়ী রফিক। নিহত রফিক ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবু ছৈয়দের ছেলে। লাশ উদ্ধারের পর বিনা ময়নাতদন্তে এবং কোন ধরণের অভিযোগ-আপত্তি ছাড়াই দাফনের ব্যবস্থা করেন স্বজনরা।

তবে লাশ দাফনের একদিন পর ১৯আগষ্ট পরিবার সদস্য ও এলাকার লোকজন জানতে পারেন ব্যবসায়ী রফিক উদ্দিনকে হত্যার পেছনে সিন্ডিকেট ব্যবসার প্রধান বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর ও তার লোকজন জড়িত। এ ঘটনার জের ধরে ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে হত্যার প্রতিবাদে বদরখালী বাজারস্থ সিন্ডিকেট অফিসে হামলা করে নিহতের স্বজন ও বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি। ওইসময় বিক্ষুদ্ধ জনগনের সাথে পুলিশের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫জন কমবেশি আহত হয়।

চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান বলেন, রফিক উদ্দিন নিহতের ঘটনায় তার ভাই মাষ্টার ওয়াইজ উদ্দিন বাদি হয়ে গত ২০আগষ্ট রাতে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চারজনকে আসামি করা হয়। বর্তমানে নারীসহ দুইজন জেলহাজতে রয়েছে। তিনি বলেন, মামলাটি রুজু হওয়ার পর রহস্য উৎঘাটনের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে লাশটি উত্তোলনপুর্বক ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে রোববার দুপুরে লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা হলেও ইতোমধ্যে নারীসহ দুইজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের পর ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তবে ইউনিয়নের সর্বস্থরের মানুষের মাঝে ব্যবসায়ী রফিকের মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে গেছে।

পাঠকের মতামত: